নির্বাচনী সীমানা পুনর্নির্ধারণ একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ইস্যু, বিশেষ করে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন ২০২৫ সালের নির্বাচনের জন্য সীমানা পরিবর্তনের একটি খসড়া প্রকাশ করেছে। এর পর থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।
বিরোধী দলের অভিযোগ:
বিরোধী দলগুলোর মতে, সীমানা পুনর্নির্ধারণে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার ঘাটতি আছে। তারা আশঙ্কা করছে, কিছু আসনের সীমানা এমনভাবে পরিবর্তন করা হয়েছে যাতে একটি নির্দিষ্ট দল রাজনৈতিক সুবিধা পায়। তারা নির্বাচন কমিশনের ওপর চাপমুক্ত ও ন্যায়সঙ্গত ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছে।
সরকারি দলের অবস্থান:
অন্যদিকে, ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জনসংখ্যার ভারসাম্য ও ভৌগোলিক বাস্তবতার আলোকে নির্বাচন কমিশন কাজ করেছে। তারা মনে করে, সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে এই সীমানা নির্ধারণ একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ।
নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য:
ইসি জানিয়েছে, এটি চূড়ান্ত খসড়া নয়। জনগণের মতামত গ্রহণের পর প্রয়োজনে সংশোধন করে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নির্বাচনী সীমানা নির্ধারণে যদি রাজনৈতিক প্রভাব থাকে, তবে সেটি গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হতে পারে। তাই সব পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে স্বচ্ছ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা জরুরি।